তবলার সুর বাঁধার মিল্পম

আজক আমাদের আলোচনার বিষয় তবলার সুর বাঁধার মিল্পম

তবলার সুর বাঁধার মিল্পম

 

তবলার সুর বাঁধার মিল্পম

 

তবলায় সুর বাঁধতে হ’লে সবচেয়ে বড় জিনিস হলো কান। যে পর্দার সুরে তানপুরা, সেতার, স্বরোদ বা অন্যান্য যন্ত্রের সুরের সঙ্গে তবলা বাঁধতে হয়, সেই সুরের সঙ্গে পরিচিত হওয়া সর্বাগ্রে প্রয়োজন। কান ঠিক না হ’লে, তবলা বাঁধতে অসুবিধা হয়। সেইজন্য, ধার। সুরে—মানে সপ্ত সুরে কানকে বেঁধে ফেলেছেন, তাঁদের পক্ষে অল্প প্রয়াসেই তবলা বাঁধা সম্ভব। এখন তবলা বাঁধার সাধারণ কতকগুলি নিয়ম হলো :-

(ক) যখন তবলার সুর বাঁধবেন, তখন তবলাটিকে বি°ড়ে থেকে নামিয়ে নেবেন।

(খ) তবলার ঘাটে (পাকড়ীর উপর) হাতের মাপ বা ওজন মতো হাতুড়ীর আঘাত করবেন । আঘাত যেন খুব জোরে করবেন না । আঘাত জোরে করলে অনেক সময় বেশী আঘাত পড়ায় তবলার ঘাট, বেখাট হয়ে যায় এবং তখন তবলা সুরের সঙ্গে মেলাতে খুবই বেগ পেতে হয়। তবলার পাকড়ীর সঙ্গে লাগানো ছোড়ের উপর আঘাত করবেন না । অনেক তৰলা আবার Sentimental হয়। Sentimental তবলা একটু বেশী আখাতেই বিগড়ে যেতে পারে। আবার বেঘাটে প্রচণ্ড আঘাত করলে ভবলা ফেঁসেও যায় ।

(গ) তবলা মেলাবার সময় কম আওয়াজ করে তর্জনীর সাহায্যে সুরে ‘তা’ বা কানিতে ‘তা’ বা ‘না’ শব্দ তুলবেন। তবলা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঘাটগুলি দেখে নেবেন, সুর একরকম হচ্ছে কি না । না হ’লে, আস্তে আস্তে হাতুড়ীর আঘাত করে ( পাকড়ীতে ) সব ঘাট সমান স্থরে করে নেবেন। তবলা যদি চড়া সুরে বাঁধতে হয়, তাহ’লে গুলিগুলো একে একে মাপমতো নামিয়ে দেবেন নীচের দিকে। অনেক সময় তবলা কিছুতেই নির্দিষ্ট সুরে মিলতে চায় না ।

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

তখন বিপরীত ঘাটে আঘাত করলেও সহজেই সুর মিলে যায়। ভলা যে সুরে বাঁধা আছে, তার থেকে যদি “চড়ে” যায় তাহলে হাতুড়ীর আঘাতে পাকড়ীর নীচের দিকের খাট উপর দিকে তুলে দিতে হয়। আর যদি নরম বলে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সুরের থেকে কম বলে, তাহলে হাতুড়ীর আঘাতে সুর চড়িয়ে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে পাকড়ীর উপরিভাগে হাতুড়ীর আঘাত করতে হয়।

তবলা চড়ানো মানে হাতুড়ীর-আঘাতে তবলার ঘাট নীচের দিকে নামিয়ে দেওয়া, তৰলা নামানো মানে হাতুড়ীর-আঘাতে খাট উপর দিকে তুলে দেওয়া ৷ বাঁয়া চড়৷ ৰাজানো ভালো নয়। চড়া বাঁয়ার রেশ থাকে না, আর তাতে বাঁয়ার গম্ভীর আওয়াজ লুপ্ত হয়ে যায় । বাঁয়ার চামড়া যতো মোলায়েম হবে, ততোই বাঁয়া বলবে ভালো। অনেকে আবার বাঁয়ার উপর এমনভাবে হাত ঘষেন, তাতে মনে হয় ছুতোর মিস্ত্রী বুঝি কাঠের কাজ করতে র্যাদা ঘষছে।

 

তবলার সুর বাঁধার মিল্পম

 

বাঁয়ার কাজে অনেকে পায়রার ডাক ডাকান। এই পায়রার ডাক বাঁয়াতে ডাকাতে হ’লে, সুষ্ঠু কায়দা আয়ত্ব করা চাই। এবং সেই কায়দা আয়ত্ব করাটা বই পড়ে আসে না। এর জন্য সৎ-গুরু দরকার । তলায় পাউডার মাখিয়ে বাজাবার অভ্যাস অনেকের আছে। বেশী পাউডার মাখালে তবলার গাব নষ্ট হয়ে যায় ৷

আরও দেখুন :

Leave a Comment