তবলা ও বাঁয়ার অবয়বের বিবরণ

আজক আমাদের আলোচনার বিষয় তবলা ও বাঁয়ার অবয়বের বিবরণ

তবলা ও বাঁয়ার অবয়বের বিবরণ

 

তবলা ও বাঁয়ার অবয়বের বিবরণ

 

সপ্ত স্বর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে আছে। তবলায়ও ঐ সপ্ত সুর আছে। তবে সেই সুরের যে কোনো স্থরে তবলা বেঁধে নিতে হয়। তবলার সুর বাঁধার কয়েকটা প্রচলিত নিয়ম আছে। সেই নিয়মগুলি পরে বলছি। কিন্তু তার আগে তবলার বিভিন্ন অংশের কোন্‌টাকে কি বলে, তা একেবারে নূতন শিক্ষার্থীর জানা দরকার বলেই আমার ধারণা । তবলার খোল আগে যে ধরনের ছিল, আজকাল তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।

আগে তবলার খোলের খাড়াই যেমন একটু বেশী ধরনের ছিল, মুখও ছিল সেই অনুপাতে বড় ৷ প্রায় ৬ ইঞ্চি—সাড়ে ৬ ইঞ্চির মতো। তখন তবলা পঞ্চমের সুরে বাঁধা হ’ত, এখন- কার মতো সি সার্পের সুরে, ডি সার্পের সুরে বাঁধা হ’ত না। তবলা নানারূপ কাঠের তৈরী হয় ৷ মানে, খোল হয় কাঠের। নিম, কাঁঠাল, খয়ের, চন্দন, আম, শিশু এবং আসামী চন্দন কাঠে তবলার খোল তৈরী হয়। এছাড়া বিজয়সার গাছের খোলও হয় । যা হ’ক তবলার চেহারা হ’ল এই রকম :-

(১) কাঠের খোল,

(২) মুখ গোল করে কাটা,

(৩) কাটা মুখের উপর ছাউনী,
(৪) ছাউনী আজকাল বোম্বাই। ৪৮ ঘাটে ছাওয়া। পাকড়ীতে বাঁধা ছাউনী। ।

(৫) মাঝখানে কালো রঙের গাব।

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

(৬) সমস্ত ছাউনীকে বলে “ভাল।”, ছাউনী হয় ছাগলের চামড়ার ৷ সাদা চামড়ার ছাউনী। আলাতালার ছাউনীও হয়। এ ছাউনী সাদা হয় না । মোটা চামড়া । রেওয়াজের পক্ষে ভালো। কানিকে বলে কিনারে। ছাউনীর সঙ্গে যুক্ত থাকে ছোড়, এবং গুলি। গুলি থাকে ৮টা। আগে সুন্দরী কাঠের গুলি হ’তো। এখন পেয়ারা কাঠের গুলি দেওয়া হয়। কখনো বা এই সব কাঠের অভাবে অন্য কাঠেরও গুলি তৈরী করা হয় ।

তারপর বাঁয়ার কথা বলছি। বাঁয়া থাকে সাধারণতঃ বাঁ দিকে। এইজন্য একে ধাঁয়া বলে। তবলা থাকে সাধারণত: ডানদিকে। এজন্ম একে ডাইনেও বলে। অনেকে আবার বাঁ হাতে তবলা বাজান, আর বাঁয়া বাজান ডান হাতে। তবে সেটা ব্যতিক্রম । সাধারণের মধ্যে পড়ে না । বাঁয়া মাটির হয় খুব বেশী। তামার ও নিকেল করা বাঁয়াও হয়। তবে মাটির বাঁয়াই আওয়াজের দিক দিয়ে সবচেয়ে ভালো। ধাঁয়াতেও ছোড়, লাগানো থাকে। বাঁয়ারও গাৰ থাকে ।

 

তবলা ও বাঁয়ার অবয়বের বিবরণ

 

আলাতালার বাঁয়া রেওয়াজের পক্ষে ভালো। এখন তবলার সুর বাঁধার মোটামুটি কয়েকটা নিয়ম বলছি।

আরও দেখুন :

Leave a Comment