আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় হস্ত সাধনার বোল বাণী। ভালো তবলা বাজাতে হলে নিয়মিত হস্ত সাধনার কোন বিকল্প নেই। কিছু নির্বাচিত বোল বাণী নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
হস্ত সাধনার বোল বাণী
[ত্রিতাল। ১৬ মাত্রা। ৩টা আঘাত, ১টা ফাঁক। ৪ মাত্রা নিয়ে এক-একটা তাল ও ফাঁক । ছোট ‘ধা’ তলায় ২ আঙুলের সাহায্যে ভেটে। প্রথমে তবলায় মধ্যমার আঘাত, পরে তবলায় তর্জনীর আঘাত । ‘থা’-র ক্ষেত্রে বাঁয়া ব্যবহার করা হবে। ছোট ‘থুন না’ তবলায় বাজবে। ]
[ ত্রিতাল। ১৬ মাত্রা। ৩টা আঘাত, ১টা ফাঁক । ৪ মাত্রা নিয়ে এক-একটা তাল ও ফাঁক। ছোট “ধা” তলায়। ‘ধা’-এর ক্ষেত্রে বাঁয়ায় মধ্যমা বা তর্জনী ব্যবহ’র করা হবে । পুরো হাতে ‘তেরে কেটে’। ছোট ‘থুন্ না’ তবলায় বাজবে। ]
[ ত্রিতাল। ৩২ মাত্রা । ৪ মাত্রা নিয়ে এক-একটা তাল ও ফাঁক। বড় “ধিন”, ছোট “ধা”, পুরো হাতে “তেরেকেটে”। বাঁয়ায় “থে”, তবলায় “ড়ে” পরে তবলার কানিতে “নাগ”। “ভেরেকিট” “তেটে ঘে”, পুরো হাতে তবলায় “ধেরে ধেরে ধেরে ধেরে”-৪টা “খেরে”। এক বাঁয়া, মানে শুধু বাঁয়ায় একটা “ঘে” । ]
[ ত্রিতাল। ১৬ মাত্রা । ৪টা করে মাত্রা নিয়ে এক-একটা ভাল। ৩টা আঘাত ৷ ১টা ফাঁক। পুরো হাতের “তেরেকেটে” এবং “তাক”। “তাক” বাজবে তবলার গাবে দক্ষিণ হস্তের যুক্ত আঙুলের আঘাতে। ]
[ ত্রিতাল। ১৬ মাত্রা। ৪টা ক’রে মাত্রা নিয়ে এক-একটা তাল । ৩টি আঘাত । ১টি ফাঁক ।
![আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন](https://tablagoln.com/wp-content/uploads/2023/07/Google-News.png)
মাত্রার ডবল করে বাজালে ১ মাত্রার মধ্যে ২ মাত্রা, ছোট ‘ধা’ পুরো হাতের ‘তেরেকেটে’, তৰলায় দক্ষিণ হস্তের তর্জনীর অগ্রভাগের সাহায্যে গাবে এবং বাঁয়ায় বাম হজ্বের গুপোর সাহায্যে একযোগে আঘাত করলে যে-বাণী বাজবে – ঘে + না = ‘ঘেনা’। যা + তি =‘ধাতি’ ছোট ‘থুন্না’ এবং ছোট ‘কতা’। বাঁয়ায় ‘কেৎ’ এবং তবলার কানিতে তর্জনীর অগ্রভাগ দিয়ে আঘাত করলে ছোট কতা বাজবে ।
[ ত্রিতাল। ১৬ মাত্রা। ৪টা করে মাত্রা নিয়ে এক-একটা ভাল। ৩টা তাল বা আঘাত। *১টা অনাঘাত বা ফাঁক। ছোট ধাগে’। ছোট ‘ভাগে’, ছোট ‘ঘেড়েনাগ’, ‘কেড়ে নাগ’ এবং ‘থুন্না’ । ]
তা ভেরে কেটে যা খেড়েনার ভেত্ – ধাধা ঘেড়েনাগ খুলনা কেড়ে নাগ।
[ জিতাল। ১৬টা মাত্রা। ৪টা করে মাত্রা নিয়ে এক একটা তাল । ৩টা ভাল বা আঘাত ৷ ১টা ফাঁক । ‘তেত্’ তবলার গাবে ‘তার’ শব্দের মত। ]
[ ত্রিতাল । ৩২টা মাত্রা। মাত্রায় ভাল করে বাজালে ১৬ মাত্রা হবে । ওটা করে মাত্রা নিয়ে এক একটা ভাল । ৩টা ভাল ৷ ১টা ফাঁক। ‘ধিনাগ’ – ধি + নাগ । বাজবে তবলায় দক্ষিণ হস্তের তর্জনীর অগ্রভাগ এবং বায়ায় বামহস্তের গুপোর সাহায্যে । তবলার গাবের কিনারায় আঘাত করতে হবে ।
আরও দেখুন :